১১ নভেম্বরের পর থেকে রাজপথ থাকবে যুবলীগের দখলে- পরশ


নিউজ ডেস্ক/পিএম

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, আগামী ১১ তারিখের পর রাজপথ থাকবে যুবলীগের দখলে।


বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,'আপনারা মিছিল সমাবেশ করছেন,যত পারেন করে নেন।কারণ ১১ ই নভেম্বর যুবলীগের সুবর্নজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যুবসমাবেশের পর রাজপথ থেকে যুবলীগের দখলে।তখন বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল। যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মত আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা,গনতন্ত্রের ধারা এবং এদেশের মানুষের মাথা উঁচু করে দাড়াবার অধিকার রক্ষার্থে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে থাকবে'।


শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা যুবলীগের  ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে দেশের সপ্তম প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে।রংপুর বিভাগ একসময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাৎপদ থাকলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী উন্নতি ঘটেছে। রংপুর এখন খাদ্যশস্যের উদবৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই অঞ্চলের অভাব দূর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নিত করা হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজ চলছে। এসকল কাজ রংপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এই রংপুরের সন্তান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দলকে বিএনপি সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। কিন্ত তার উত্তরসূরীরা আজ বিএনপির সাথে সুর মেলাচ্ছে।

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের আগে তার কাছেও চাঁদা দাবি করা হয় উল্লেখ করব তিনি বলেন, সমাবেশের আগে আমাকে ফোন দিয়ে যুবদলের পরিচয় দিয়ে নগরীর সাতমাথা এলাকায় আমার একটি গাড়ি চলে জানিয়ে বলে কনট্রাকটর সাহেব আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ, টাকা দিতে হবে।আওয়ামীলীগের আমলেও তারা চাঁদা চায়। এই সমাবেশের আগে তারা রংপুরের ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করেছে।


সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল,সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী,যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ সদস্য এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।